রাজমা খিচুড়ি শিশুর জন্য পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার হল রাজমা মিক্সড খিচুড়ি। শিশুর প্রত্যেক দিনের খাবার এর তালিকায় রাখুন রাজমা মিক্সড খিচুড়ি।
বাচ্চাদের খাবার নিয়ে যেন মায়েদের চিন্তার শেষ নেই।যখন থেকে একটা বাচ্চার সলিড শুরু তখন থেকে মায়েদের চিন্তা শুরু। বাচ্চা যখন খাবারের স্বাদ বুঝতে শিখে তখন চায় ভিন্ন ভিন্ন খাবার। আমরা বড়রা যেমন একি খাবার বার বার খেতে পছন্দ করি না ঠিক ছোট বাচ্চারাও চায় মজাদার এবং বিভিন্ন খাবার খেতে।তাই আপনার সোনামনির জন্য নিয়ে এলো “Baby Needs“ রাজমা খিচুরি মিক্স। যা আপনার বাচ্চার খাবারে আনবে ভিন্ন স্বাদ। এবং আমরা সব সময় চেষ্টা করি আর আপনার বাচ্চার জন্য রুচি বৃদ্ধি কারক ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার তৈরি করতে।
✅ রাজমা খিচুড়ি রান্নার নিয়ম :
দের কাপ পানির সাথে ২ টেবিল চামচ খিচুড়ি, পরিমাণ মতো তেল, হলুদ, আদা, রসুন, ভালোভাবে মিশিয়ে ৮ – ১০ মিনিট সময় নিয়ে রান্না করে নিবেন (ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে)। এতে কয়েক রকম চাল, ডাল, রাজমা, এলাচ ও দারুচিনি ইত্যাদি পরিষ্কার করে একত্রে আদা ভাঙ্গা করে দেওয়া থাকে। তাই ঘুটনি দিয়ে ঘোটা বা ব্লেন্ড করার ঝামেলা নেই। সহজ উপায়ে ঝটপট রান্না করে নিতে পারবেন। পছন্দ অনুযায়ী মসলা, শাক-সবজি অথবা মাংস মিশিয়ে নিতে পারবেন।
*নরমাল খিচুড়ি যেভাবে রান্না করবেন সেভাবে রান্না করতে পারবেন।
✅ রাজমা এর উপকারিতা :
✅ রাজমায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন কে, যা শরীরে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে বিশেষ উপকারী।
✅রাজমার ভিটামিন কে মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী।
✅রাজমায় রয়েছে এক ধরনের ফাইবার, যা শর্করা জাতীয় খাবারের মেটাবলিজম রেট ঠিক রেখে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
✅রাজমা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বলে পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
✅উচ্চ ফাইবারযুক্ত রাজমা রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং রাজমায় উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
✅রাজমায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ ঠিকঠাক রাখে এবং পাশাপাশি শরীরকে প্রচুর এনার্জি সরবরাহ করে।
✅রাজমা হল প্রোটিন সমৃ্দ্ধ খাবার এবং তাই মাংস বা দুগ্ধজাত খাবারের পরিবর্ত হিসেবে কাজ করে।
✅রাজমায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন। এই ভিটামিনটি স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
✅ফ্ল্যাভোনয়েডস বা প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন সমৃদ্ধ এই খাবার ত্বক ভাল রাখে এবং ত্বকে বলিরেখা পড়তে বাধা দেয়।
✅রিউমাটয়েড আর্থারাইটিসে যাঁরা ভুগছেন তাঁদের পক্ষে উপকারী রাজমা কারণ এতে থাকে কপার যা লিগামেন্ট এবং জয়েন্টের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
✅ রাজমা খিচুড়ি এর উপাদান সমূহ :
- সাদা রাজমা
- লাল রাজমা
- লাল চাল
- নাজির শাইল চাল
- পোলাও চাল
- মসুর ডাল
- মুগ ডাল
- মাসকলাই ডাল
- দারুচিনি ও
- এলাচ
✅ রাজমা খিচুড়ি এর উপকারিতা :
রাজমা তে প্রচুর আমিষ, ফাইবার এবং স্নেহজাতীয় উপাদান রয়েছে। এ ছাড়া এতে আটটি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রাজমা বীজের বাইরের গাঢ় রঙের আবরণে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। নিয়মিত খাবার হিসেবে গ্রহণ করলে হৃৎপিণ্ডসহ শরীরের অন্যান্য শিরা-উপশিরার স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। শিশু, গর্ভবর্তী ও প্রসূতি মায়ের অতিরিক আয়রনের প্রয়োজন মেটায়। এতে সঞ্চিত ম্যাঙ্গানিজ দেহের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এতে আছে ফাইবার। রাজমার ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড় গঠন এবং হাড়ের ক্ষয়রোধ করে। এজন্য আপনার ছোট্ট সোনামনির শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য রাজমা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। শুধু তাই নয়। ছোট-বড় সকলেই এই পুষ্টিকর খিচুরি মিক্স খেতে পারবেন বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগী ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকারী।
খিচুড়িতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের ব্যালান্স ঠিকভাবে থাকে। তাই খিচুড়িকে পরিপূর্ণ খাবার বলা হয়। খিচুড়ি তৈরি করা হয় ডাল ও চাল দিয়ে। ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ, ভিটামিন ‘সি’, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ১০টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড। এক কাপ খিচুড়ি থেকে প্রায় ২৭২ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। খিচুড়ির সঙ্গে সামান্য ঘি ও কয়েক ধরনের সবজি মিশিয়ে দিলেই পরিপূর্ণ ব্যালান্সড খাবার হবে।
👉 ডায়রিয়া, বমি, জন্ডিস, জ্বর ইত্যাদির সময় পাতলা খিচুড়ি খেলে শারীরিক দুর্বলতা কাটে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের পুষ্টি চাহিদ খিচুড়ি সহজপাচ্য বলে শিশু খিচুড়ি খেয়ে উপকার পাবেন।
👉 যেভাবে অর্ডার করবেন “ রাজমা খিচুড়ি ” সরাসরি ফোনে অর্ডার করুন : 01326 78 67 16
✅ অথবা, “ BUY NOW ” বাটনে ক্লিক করে,
👉 আপনার নাম 👉 ঠিকানা 👉 ফোন নাম্বার লিখে “ অর্ডার সম্পন্ন করুন ” বাটনে ক্লিক করুন।